 |
| শুক্রবার বিকালে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিশের লিখিত জবাব পৌঁছে দেন জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। শুক্রবার বিকালে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে লিখিত ওই জবাব পৌঁছে দেন তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
নির্বাচনের সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের লিখিত জাবাব তারা পেয়েছেন।
জবাবে জায়েদা খাতুন বলেন, “আচরণবিধি ভঙ্গের নোটিশপ্রাপ্ত হয়ে অবগত হয়েছি যে, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশিত ছবি, পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলে আমার পুত্র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ছবি আমার ছবির সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। উক্ত বিষয়ে আমি অত্র কারণ দর্শানোর নোটিস প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত অবগত ছিলাম না। প্রকৃত পক্ষে আমার নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেট হ্যান্ডবিল প্রিন্টিং কারখানায় ছাপানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমার অজ্ঞাতসারে অতি উৎসাহি ব্যক্তি, কোন শুভাকাঙ্ক্ষি, স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি না বুঝে, না জেনে, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আমার পোস্টার হ্যান্ডবিল, লিফলেটে মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ছবি সংযুক্ত করে বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করেছেন। তাদের প্রতি আমি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাই, তারা যেন উক্ত ছবি, পোস্টার, হ্যান্ডবিল দ্রুত উত্তোলন করে সরিয়ে নেয়।”
জবাবে আরও বলা হয়, “উল্লেখিত বিষয়ে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে আমি আরও বেশি সতর্ক থেকে সিটি করপোরেশন (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর সকল আচরণবিধি-বিধান মেনে চলব। একইসঙ্গে আমি আরও ইচ্ছা প্রকাশ করছি যে, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় যদি কেউ আমার অজান্তে নির্বাচন আচরণবিধি-বিধান অমান্য করে কোনো প্রকার প্রচার, প্রচারণা চালায় কিংবা প্রদর্শন করে তাহলে আপনারা (নির্বাচন কর্তৃপক্ষ) আমাকে অনুগ্রহ পূর্বক অবগত করিলে সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিব এবং চিরকৃতজ্ঞ থাকিব।”
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। শুক্রবার বিকালে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে লিখিত ওই জবাব পৌঁছে দেন তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
নির্বাচনের সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের লিখিত জাবাব তারা পেয়েছেন।
জবাবে জায়েদা খাতুন বলেন, “আচরণবিধি ভঙ্গের নোটিশপ্রাপ্ত হয়ে অবগত হয়েছি যে, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশিত ছবি, পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলে আমার পুত্র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ছবি আমার ছবির সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। উক্ত বিষয়ে আমি অত্র কারণ দর্শানোর নোটিস প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত অবগত ছিলাম না। প্রকৃত পক্ষে আমার নির্বাচনী পোস্টার, লিফলেট হ্যান্ডবিল প্রিন্টিং কারখানায় ছাপানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমার অজ্ঞাতসারে অতি উৎসাহি ব্যক্তি, কোন শুভাকাঙ্ক্ষি, স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি না বুঝে, না জেনে, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় আমার পোস্টার হ্যান্ডবিল, লিফলেটে মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের ছবি সংযুক্ত করে বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করেছেন। তাদের প্রতি আমি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাই, তারা যেন উক্ত ছবি, পোস্টার, হ্যান্ডবিল দ্রুত উত্তোলন করে সরিয়ে নেয়।”
জবাবে আরও বলা হয়, “উল্লেখিত বিষয়ে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে আমি আরও বেশি সতর্ক থেকে সিটি করপোরেশন (নির্বাচনী আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর সকল আচরণবিধি-বিধান মেনে চলব। একইসঙ্গে আমি আরও ইচ্ছা প্রকাশ করছি যে, আমার নির্বাচনী প্রচারণায় যদি কেউ আমার অজান্তে নির্বাচন আচরণবিধি-বিধান অমান্য করে কোনো প্রকার প্রচার, প্রচারণা চালায় কিংবা প্রদর্শন করে তাহলে আপনারা (নির্বাচন কর্তৃপক্ষ) আমাকে অনুগ্রহ পূর্বক অবগত করিলে সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করিব এবং চিরকৃতজ্ঞ থাকিব।”
সাংবাদিক নেতা রাহিম সরকার বলেন, পোস্টার ও লিফলেট জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর নিজেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রদর্শন করে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এমনকি নোটিশ প্রাপ্তির পরও প্রচার ও প্রদর্শন করেছেন। এর দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া খোঁড়া যুক্তি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রার্থীদের অন্তত ২ বার আচরণবিধি ভঙ্গ করতে উৎসাহিত করবে।
মন্তব্য করুন: