![]() |
জায়েদা খাতুন (বামে), হলফনামার স্ক্রিনশট (মাঝে) ও আয়কর রিটার্নের স্ক্রিনশট (ডানে) |
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় ৪ কোটি ৯৬ হাজার ৬৮০ টাকার তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়েদা খাতুনের আয়কর রিটার্নের তথ্যের সঙ্গে হলফনামায় দেওয়া তথ্যের ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। যা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।
নির্বাচন কমিশনে জায়েদা খাতুনের দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা ও আয়কর রিটার্নে এই জালিয়াতির ধরা পরে এবং তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে দাখিল করা ২০২২-২০২৩ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নে দেখা যায় তিনি ব্যবসার পুঁজি (মূলধনের জের) হিসেবে দেখিয়েছেন ৪,৬৬,০০,০০০/- টাকা। এই টাকা তিনি কোথায় রেখেছেন বা কোথায় বিনিয়োগ করা আছে বা কোথায় কী ব্যবসা চলে তা জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে টিআইএন সার্চ করে পূর্বের করবর্ষগুলোতে জায়েদা খাতুনের আয়কর প্রদান করার কোন সূত্র পাওয়া যায়নি। বিগত করবর্ষগুলোতে কর প্রদান না করায় জরিমানার বিধান থাকলেও জায়েদা খাতুনের আয়কর রিটার্নে জরিমানার বিষয়টির উল্লেখ নেই।
জায়েদা খাতুন পূর্ববর্তী আয়কর রিটার্ন এবং সারচার্জ প্রদান না করায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে ২০২২-২০২৩ করবর্ষে (মহিলাদের আয়সীমা) ৩,৪৫,০০০/- টাকা আয় দেখিয়ে শূণ্য আয়কর দেখিয়েছেন।
অনারেবল টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেডে ২,৫০,০০০/- টাকা মূল্যের ২৫০০ টি শেয়ারের বিপরীতে কত টাকা মুনাফা পেয়েছেন তাও জয়েদা খাতুন তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেননি।
আয়কর পরিপত্র ২০২২-২০২৩ অনুযায়ী কোন করদাতার যদি নীট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি টাকার বেশি হয় তাহলে সারচার্জ প্রযোজ্য হবে। কিন্তু জায়েদা খাতুন ২০২২-২০২৩ কর বর্ষে কোন প্রকার কর প্রদান করেননি এবং নীট সম্পদের উপর কোন সারচার্জ প্রদান করেননি। সংশ্লিষ্ট কর অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে জায়েদা খাতুন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন তা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলো কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী জায়েদা খাতুনের কোন স্থাবর সম্পত্তি নেই।
জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন নগদ ৩৫,০০,০০০/- টাকা, ব্যাংকে জমা ৫০,০০০/- টাকা, অনারেবল টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেডের ২৫০০ টি শেয়ার মূল্য ২,৫০,০০০/-, ৩০ তোলা স্বর্ণ দেখিয়েছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য (৭ মে, ২০২৩ তারিখের বাজার দর ৯৮,৪৪৪/- টাকা ভরি হিসেবে) ২৯,৫৩,৩২০/- টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেখিয়েছেন ১,৫০,০০০/- টাকা এবং আসবাবপত্র দেখিয়েছেন ১,২০,০০০/- টাকা। এ হিসেবে হলফনামায় জায়েদা খাতুন মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ৭০,২৩,৩২০/- টাকা।
২০২২-২০২৩ কর বর্ষে আয়কর রিটার্নে নীট সম্পদ দেখিয়েছেন ৪,৭১,২০,০০০/- টাকা। যা হলফনামায় দেখানো সম্পদের মধ্যে ৪,০০,৯৬,৬৮০/- টাকার গড়মিল।
এখন প্রশ্ন উঠছে এতবড় গড়মিল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়িয়ে গেল কীভাবে?
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় ৪ কোটি ৯৬ হাজার ৬৮০ টাকার তথ্য গোপন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জায়েদা খাতুনের আয়কর রিটার্নের তথ্যের সঙ্গে হলফনামায় দেওয়া তথ্যের ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। যা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।
নির্বাচন কমিশনে জায়েদা খাতুনের দাখিল করা নির্বাচনী হলফনামা ও আয়কর রিটার্নে এই জালিয়াতির ধরা পরে এবং তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত জায়েদা খাতুনের নির্বাচনী হলফনামার সঙ্গে দাখিল করা ২০২২-২০২৩ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নে দেখা যায় তিনি ব্যবসার পুঁজি (মূলধনের জের) হিসেবে দেখিয়েছেন ৪,৬৬,০০,০০০/- টাকা। এই টাকা তিনি কোথায় রেখেছেন বা কোথায় বিনিয়োগ করা আছে বা কোথায় কী ব্যবসা চলে তা জায়েদা খাতুন তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে টিআইএন সার্চ করে পূর্বের করবর্ষগুলোতে জায়েদা খাতুনের আয়কর প্রদান করার কোন সূত্র পাওয়া যায়নি। বিগত করবর্ষগুলোতে কর প্রদান না করায় জরিমানার বিধান থাকলেও জায়েদা খাতুনের আয়কর রিটার্নে জরিমানার বিষয়টির উল্লেখ নেই।
জায়েদা খাতুন পূর্ববর্তী আয়কর রিটার্ন এবং সারচার্জ প্রদান না করায় সার্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে ব্যর্থ হয়ে ২০২২-২০২৩ করবর্ষে (মহিলাদের আয়সীমা) ৩,৪৫,০০০/- টাকা আয় দেখিয়ে শূণ্য আয়কর দেখিয়েছেন।
অনারেবল টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেডে ২,৫০,০০০/- টাকা মূল্যের ২৫০০ টি শেয়ারের বিপরীতে কত টাকা মুনাফা পেয়েছেন তাও জয়েদা খাতুন তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করেননি।
আয়কর পরিপত্র ২০২২-২০২৩ অনুযায়ী কোন করদাতার যদি নীট সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি টাকার বেশি হয় তাহলে সারচার্জ প্রযোজ্য হবে। কিন্তু জায়েদা খাতুন ২০২২-২০২৩ কর বর্ষে কোন প্রকার কর প্রদান করেননি এবং নীট সম্পদের উপর কোন সারচার্জ প্রদান করেননি। সংশ্লিষ্ট কর অফিসের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে জায়েদা খাতুন সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনে দাখিল করেছেন তা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হলো কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী জায়েদা খাতুনের কোন স্থাবর সম্পত্তি নেই।
জায়েদা খাতুন নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন নগদ ৩৫,০০,০০০/- টাকা, ব্যাংকে জমা ৫০,০০০/- টাকা, অনারেবল টেক্সটাইল কম্পোজিট লিমিটেডের ২৫০০ টি শেয়ার মূল্য ২,৫০,০০০/-, ৩০ তোলা স্বর্ণ দেখিয়েছেন যার বর্তমান বাজার মূল্য (৭ মে, ২০২৩ তারিখের বাজার দর ৯৮,৪৪৪/- টাকা ভরি হিসেবে) ২৯,৫৩,৩২০/- টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী দেখিয়েছেন ১,৫০,০০০/- টাকা এবং আসবাবপত্র দেখিয়েছেন ১,২০,০০০/- টাকা। এ হিসেবে হলফনামায় জায়েদা খাতুন মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ৭০,২৩,৩২০/- টাকা।
২০২২-২০২৩ কর বর্ষে আয়কর রিটার্নে নীট সম্পদ দেখিয়েছেন ৪,৭১,২০,০০০/- টাকা। যা হলফনামায় দেখানো সম্পদের মধ্যে ৪,০০,৯৬,৬৮০/- টাকার গড়মিল।
এখন প্রশ্ন উঠছে এতবড় গড়মিল নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এড়িয়ে গেল কীভাবে?
মন্তব্য করুন: