![]() |
সৌজন্যে: দ্য ডেইলি স্টার |
করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) হাইকোর্ট রায় দেবেন বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রীটের শুনানি শেষ হয়েছে। আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, ও ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
এর আগে ২০২১ সালের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।
পরে একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশিষ্টদের দুই সপ্তহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান সবুজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
নভেম্বর ২৫, ২০২১ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, 'পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার (জাহাঙ্গীর) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে এসেছে। অভিযোগগুলো সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।'
ওই দিন সন্ধায় গাজীপুরের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থি কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল বাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতি বছর হাট বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) হাইকোর্ট রায় দেবেন বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রীটের শুনানি শেষ হয়েছে। আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। জাহাঙ্গীরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট এম কে রহমান, ও ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
এর আগে ২০২১ সালের ১৪ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলম পদ ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে তাকে সাময়িক বরখাস্তের আইনগত বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ব্যারিস্টার মশিউর রহমান সবুজ জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে এ রিট দায়ের করেন।
পরে একই বছরের ২৩ আগস্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশিষ্টদের দুই সপ্তহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও মশিউর রহমান সবুজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
নভেম্বর ২৫, ২০২১ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, 'পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার (জাহাঙ্গীর) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে এসেছে। অভিযোগগুলো সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।'
ওই দিন সন্ধায় গাজীপুরের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থি কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গাজীপুরের সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল বাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতি বছর হাট বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্ত ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তদন্ত করতে কত দিন সময় লাগবে সেটা এখনই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে যা পাবো সে অনুযায়ী তাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেওয়া হবে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ তিনি পাবেন।”
প্রসঙ্গত: জাহাঙ্গীরকে যে আওয়ামী লীগ থেকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করা হয় যা তার মেয়র পদ সম্পর্কিত নয়। তবুও জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন “আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দিয়েছে, এ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেছি।”
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত অনুসারে জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন দুর্নীতি-অপকর্মের ফিরিস্তি তথ্য-প্রমানসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। এ প্রসঙ্গে রাহিম সরকারের একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ওঠা ওইসব দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে, অনুসন্ধান শেষে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন আদালত।
প্রসঙ্গত: জাহাঙ্গীরকে যে আওয়ামী লীগ থেকে শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা করা হয় যা তার মেয়র পদ সম্পর্কিত নয়। তবুও জাহাঙ্গীরের আইনজীবী ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন “আওয়ামী লীগ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে ক্ষমা করে দিয়েছে, এ বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেছি।”
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত অনুসারে জাহাঙ্গীরের বিভিন্ন দুর্নীতি-অপকর্মের ফিরিস্তি তথ্য-প্রমানসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়। এ প্রসঙ্গে রাহিম সরকারের একটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ওঠা ওইসব দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার জন্য নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে, অনুসন্ধান শেষে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন আদালত।
এমতবস্থায়, দুর্নীতির কারণে সাময়িক বরখাস্ত জাহাঙ্গীরের তদন্ত চলাকালে মেয়র পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? এ নিয়েই আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে সচেতন মহল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখছেন।
রাহিম সরকার বলেন, “দুর্নীতির সকল অভিযোগ নিস্পত্তি হওয়ার আগ পর্যন্ত জাহাঙ্গীরের মেয়র পদ ফিরে পাওয়া সুদূর পরাহত।”
মন্তব্য করুন: