
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন কেন্দ্রিক আলাপ আলোচনায় মুখরিত হয়ে উঠছে এ নগর। ভোটার, দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। চায়ের দোকানে, আড্ডায় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার ধোঁয়া উঠলেও মেয়র প্রার্থী নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগে এক প্রকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মেতেছেন প্রার্থী, নেতা-কর্মী আর সমর্থকেরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, শেয়ার আর রিশেয়ার করে একই সঙ্গে কথিত ভক্ত ও সমর্থকদের দিয়ে নগরজুড়ে পোস্টার সাঁটিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অবস্থান জানান দিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ দিতে চাইছেন। রাজধানী লাগোয়া শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর সিটিতে শেষ পর্যন্ত কে হবেন নৌকার মাঝি?
কালো টাকা, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশসহ জেলার সিনিয়র নেতাদের সম্পর্কে কটুক্তি, কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর জালিয়াতি, এবং গণমাধ্যম-পেশাজীবী সংগঠন গাজীপুর প্রেসক্লাব-এর নির্বাচিত চেয়ার জবরদখল ইত্যাদি কারণে বিতর্কিত মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন বহিষ্কার এবং শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা প্রদর্শন করলেও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে না দেওয়ায় এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি এ পর্যন্ত প্রতিফলিত না হওয়ায় তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অনেকটা ধোঁয়াশা বিরাজ করছে। শেষ চেষ্টা হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে এক রিটপিটিশন দায়েরের মাধ্যমে তাকে মেয়র পদ ফিরে পেতেই বেশি সোচ্চার দেখা যাচ্ছে। ওই পিটিশনের শোনানী আগামী ২৮ মার্চ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে দুই মেয়াদে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মেয়রের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনায় অভিজ্ঞ আসাদুর রহমান কিরন এবার গাজীপুর সিটির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। আওয়ামী রাজনীতিতে একনিষ্ঠতা এবং নগর পরিচালনায় অভিজ্ঞতার আলোকে আসাদুর রহমান কিরনকে মনোনয়ন দিতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা আছে।
এছাড়াও গাজীপুর সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে আছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ও গাজীপুর সিটির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও কামরুল আহসান সরকার রাসেল এবং যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশকিছু নতুন মুখের পোস্টার নগরজুড়ে দেখা যাচ্ছে। এসব নেতৃবৃন্দ নিজেদের সমর্থন আদায়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠকসহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
গত ০৪ মার্চ ২০২৩ ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে এক দিনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কথা রয়েছে।
প্রায় পৌনে ১২ লাখ ভোটারের এই সিটি কর্পোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৮ সালের ২৬ জুন। প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর। সেই হিসাবেও এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন কেন্দ্রিক আলাপ আলোচনায় মুখরিত হয়ে উঠছে এ নগর। ভোটার, দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। চায়ের দোকানে, আড্ডায় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার ধোঁয়া উঠলেও মেয়র প্রার্থী নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগে এক প্রকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মেতেছেন প্রার্থী, নেতা-কর্মী আর সমর্থকেরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, শেয়ার আর রিশেয়ার করে একই সঙ্গে কথিত ভক্ত ও সমর্থকদের দিয়ে নগরজুড়ে পোস্টার সাঁটিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অবস্থান জানান দিয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ দিতে চাইছেন। রাজধানী লাগোয়া শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুর সিটিতে শেষ পর্যন্ত কে হবেন নৌকার মাঝি?
কালো টাকা, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশসহ জেলার সিনিয়র নেতাদের সম্পর্কে কটুক্তি, কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর জালিয়াতি, এবং গণমাধ্যম-পেশাজীবী সংগঠন গাজীপুর প্রেসক্লাব-এর নির্বাচিত চেয়ার জবরদখল ইত্যাদি কারণে বিতর্কিত মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আজীবন বহিষ্কার এবং শর্তসাপেক্ষে ক্ষমা প্রদর্শন করলেও দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে না দেওয়ায় এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি এ পর্যন্ত প্রতিফলিত না হওয়ায় তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে অনেকটা ধোঁয়াশা বিরাজ করছে। শেষ চেষ্টা হিসেবে সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে এক রিটপিটিশন দায়েরের মাধ্যমে তাকে মেয়র পদ ফিরে পেতেই বেশি সোচ্চার দেখা যাচ্ছে। ওই পিটিশনের শোনানী আগামী ২৮ মার্চ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে দুই মেয়াদে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে মেয়রের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনায় অভিজ্ঞ আসাদুর রহমান কিরন এবার গাজীপুর সিটির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন। আওয়ামী রাজনীতিতে একনিষ্ঠতা এবং নগর পরিচালনায় অভিজ্ঞতার আলোকে আসাদুর রহমান কিরনকে মনোনয়ন দিতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলে আলোচনা আছে।
এছাড়াও গাজীপুর সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে আছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ও গাজীপুর সিটির ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক ও কামরুল আহসান সরকার রাসেল এবং যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বেশকিছু নতুন মুখের পোস্টার নগরজুড়ে দেখা যাচ্ছে। এসব নেতৃবৃন্দ নিজেদের সমর্থন আদায়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠকসহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
গত ০৪ মার্চ ২০২৩ ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে এক দিনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কথা রয়েছে।
প্রায় পৌনে ১২ লাখ ভোটারের এই সিটি কর্পোরেশনে সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৮ সালের ২৬ জুন। প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর। সেই হিসাবেও এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: