
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে পবিত্র মসজিদের অভ্যন্তরে ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার বন্ধ এবং মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার দাবিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আজ সকাল ১১টায় (বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩) গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধন শেষে গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, মো. আতিক মাহমুদ মো. মাজেদুল ইসলাম ভূইয়া, অ্যাডভোকেট নূরনবী সরদার, মো. জাকারিয়া মোল্লা, মো. ওমর ফারুক, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. এরশাদ আলী, মাহমুদা আক্তার লিজা, ডা. আব্দুল কাদির, নূরুল আমীন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর বরাবরে দেওয়া মো. আতিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, গাজীপুর জেলায় বিভিন্ন ব্যক্তি মসজিদের অভ্যন্তরে নামাজ ও খুতবা থামিয়ে বা দেরি করিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। যা পবিত্র কুরআন ও হাদিসের পরিপন্থী। আবার মসজিদের অভ্যন্তরে নিজের ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দেওয়ার ভিডিও রেকডিং করে তা ফেসবুকে প্রচার করছেন। এতে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হচ্ছে। এই ধারা অনুসরণ করে সবাই যদি মসজিদের অভ্যন্তরে নিজের ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দিতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি কেমন হবে?
স্মারকলিপিতে মসজিদের অভ্যন্তরে কারো ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করা এবং এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও স্মারকলিপিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের মসজিদের অভ্যন্তরে দেওয়া ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচারের দুটি ভিডিও (১, ২) সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, মো. আতিক মাহমুদ মো. মাজেদুল ইসলাম ভূইয়া, অ্যাডভোকেট নূরনবী সরদার, মো. জাকারিয়া মোল্লা, মো. ওমর ফারুক, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. এরশাদ আলী, মাহমুদা আক্তার লিজা, ডা. আব্দুল কাদির, নূরুল আমীন, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর বরাবরে দেওয়া মো. আতিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, গাজীপুর জেলায় বিভিন্ন ব্যক্তি মসজিদের অভ্যন্তরে নামাজ ও খুতবা থামিয়ে বা দেরি করিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। যা পবিত্র কুরআন ও হাদিসের পরিপন্থী। আবার মসজিদের অভ্যন্তরে নিজের ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দেওয়ার ভিডিও রেকডিং করে তা ফেসবুকে প্রচার করছেন। এতে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হচ্ছে। এই ধারা অনুসরণ করে সবাই যদি মসজিদের অভ্যন্তরে নিজের ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দিতে থাকে তাহলে পরিস্থিতি কেমন হবে?
স্মারকলিপিতে মসজিদের অভ্যন্তরে কারো ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচার করে বক্তব্য দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করা এবং এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও স্মারকলিপিতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের মসজিদের অভ্যন্তরে দেওয়া ব্যক্তিগত গুণগান ও মতাদর্শ প্রচারের দুটি ভিডিও (১, ২) সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান
প্রসঙ্গত:
শিরক-বিদআত মুক্ত থাকবে মসজিদ
প্রতিটি মসজিদ আল্লাহর ঘর। আল্লাহর ইবাদত ও দ্বিনি কাজই শুধু সেখানে অনুমোদিত। ইসলামি শরিয়তবিরোধী এবং ইবাদতের পরিবেশ নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ মসজিদে করা যাবে না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, “এবং আমার কাছে ওহি এসেছে যে, সিজদাসমূহ আল্লাহরই প্রাপ্য। সুতরাং, আল্লাহর সাথে অন্য কারও ইবাদত করো না।” (সুরা : জিন, আয়াত : ১৮)অপরের নামাযে ব্যাঘাত না ঘটানো
মহানবী (ﷺ) বলেছেন, “ইমাম খুতবার জন্য হুজরা হতে বের হবার পর থেকে সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ থাকবে।” (মিশকাতুল মাসাবিহ, ১৩৮৭ নং)। এমনকি কেউ নামায বা কুরআন পড়লে সেখানে সশব্দে কুরআন পাঠও করা যাবে না। একদা মহানবী (ﷺ) দেখলেন, লোকেরা নামাযে জোরে-শোরে কুরআন পাঠ করছে। তিনি বললেন, “মুসল্লি (নামাযি) তো আল্লাহর সাথে চুপিসারে কথা বলে। সুতরাং, কী নিয়ে তাঁর সাথে কথা বলছে তা লক্ষ্য করা দরকার। আর তোমরা এমন উচ্চস্বরে কুরআন পড়ো না, যাতে অপরের নামাযে ব্যাঘাত ঘটে।” (আহমাদ, মুসনাদ, মিশকাত ৮৫৬ নং)বলাই বাহুল্য যে, মসজিদের যে প্রতিবেশী অথবা অন্য লোক যে (মাইক, টেপ, রেডিও প্রভৃতির) শব্দ বা গান-বাজনা দ্বারা অথবা কোন রঙ-তামাশা দ্বারা মসজিদের পবিত্রতাহানি করে এবং মসজিদে অবস্থিত নামাযিদের নামাযে, তেলাওয়াতে ও আল্লাহর জিকিরে ব্যাঘাত ও বাধা সৃষ্টি করে তার ভয় হওয়া উচিৎ। কারণ, মহান আল্লাহর সাধারণ উক্তি এই যে,
ومَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللهِ أَنْ يُّذْكَرَ فِيْهَا اسْمُهُ وَسَعى فِيْ خَرَابِهَا أُولئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَنْ يَّدْخُلُوْهَا إِلاَّ خَائِفِيْنَ، لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَّلَهُمْ فِي الآخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيْمٌ
অর্থাৎ, “যে কেউ আল্লাহর মসজিদসমূহে তাঁর নাম স্মরণ করতে বাধা প্রদান করে এবং এদের বিনাশ সাধনে প্রয়াসী হয় তার অপেক্ষা বড় জালিম কে হতে পারে ? অথচ ভয়-বিহ্বল না হয়ে তাদের জন্যে মসজিদে প্রবেশ করা সংগত ছিল না। পৃথিবীতে তাদের জন্যে লাঞ্ছনা ভোগ ও পরকালে তাদের জন্যে মহাশাস্তি রয়েছে।” (সুরা : আল বাকারা, আয়াত : ১১৪)
মন্তব্য করুন: