
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়র পদে পুনর্বহাল করার জন্য ৬১ জন কাউন্সিলরের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে কথিত আবেদন প্রসঙ্গে কতিপয় সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টাল, ও টেলিভিশন চ্যানেলে ফলাও করে প্রকাশিত সংবাদকে ’মিডিয়া স্টান্টবাজি’ বলেছেন সচেতন নাগরিকেরা। তারা বলেন, আবেদনকারীর নাম ও স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা ও আবেদনকারীর ফোন নম্বর ছাড়া আবেদনের সূত্র ধরে কী করে শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হতে পারে? বিষয়টি মিডিয়ার স্টান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া কথিত ওই আবেদনপত্রের কপিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি সীল দেখা গেছে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে, আবেদনকারীর নাম ও স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা ও আবেদনকারীর ফোন নম্বর ছাড়া ওই মন্ত্রণালয় কিভাবে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করল? তাছাড়াও মন্ত্রণালয় যদি আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেও থাকে তাহলে মন্ত্রণালয় আবেদনপত্রটির আবেদনকারী হিসেবে কোন ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রার বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছে?
লক্ষ্য করার আরো একটি বিষয় হলো কথিত আবেদনপত্রে মন্ত্রণালয়ের সীলের আশেপাশে বা কোথাও আবেদনপত্রটির গ্রহণকারীর কোন নোট নেই।
আলোচ্য বিষয়টি যদি ’গণস্বাক্ষর’ হতো, তাহলেও বিধি মোতাবেক একজন ব্যক্তি আবেদনকারী হিসেবে আবেদনপত্রটি উপস্থাপন করতেন।
এতে করে বুঝা যায় আবেদনপত্রটি যথাযথ নয়। যা নিয়ে কতিপয় মিডিয়া ঢালাওভাবে স্টান্টবাজি করেছে।
ভূয়া আবেদনপত্রের স্টান্টবাজির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাউন্সিলর সাংবাদিকদের বলেছেন যে তারা এ ধরনের কোন আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেননি, যা মূলধারার কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
কথিত ওই আবেদনপত্রে কোনোভাবেই স্বাক্ষর দেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হাসান আজমল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়র পদে পুনর্বহালের কোনও আবেদনপত্রে আমি স্বাক্ষর দিইনি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যদি ওই আবেদনে আমার স্বাক্ষর থাকে, তবে অন্য কেউ দিয়েছে। এটি জালিয়াতি ও প্রতারণা।”
এছাড়াও কথিত আবেদনপত্রে উল্লিখিত ’গাজীপুরের উন্নয়ন ও আগামী নির্বাচনে (জাহাঙ্গীরের) বিজয় নিশ্চিত করতে’ বিএনপি'র বেশ কয়েক নেতা ও কাউন্সিলরদের নাম ও স্বাক্ষর থাকায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে বিএনপির এইসব নেতারাও কি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে চায়?
প্রসঙ্গত: সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ ও মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ কিছু সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টাল, ও টেলিভিশন চ্যানেলে “গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন কাউন্সিলররা। গতকাল রোববার এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র দেন তাঁরা। এতে ওই সিটি করপোরেশনের ৬১ জন কাউন্সিলর স্বাক্ষর করেন।” প্রসঙ্গে ফলাও করে সংবাদ প্রচার করে। ওই সংবাদকে “মিডিয়া স্টান্টবাজি” বলে আখ্যা দিয়েছেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার। তিনি বলেন, “একজন সচেতন নাগরিক ও সংবাদকর্মী হিসেবে আমি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই আশা করি।”
গাজীপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, “বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। এই সুযোগে গণমাধ্যম অযাচাইকৃত তথ্য প্রকাশ করলে তা জনগণের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। ফরমায়েশি সাংবাদিকতার অন্তরালে কতিপয় গণমাধ্যমের গোপন মুনাফার উৎস থাকে কিনা তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।”
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়র পদে পুনর্বহাল করার জন্য ৬১ জন কাউন্সিলরের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে কথিত আবেদন প্রসঙ্গে কতিপয় সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টাল, ও টেলিভিশন চ্যানেলে ফলাও করে প্রকাশিত সংবাদকে ’মিডিয়া স্টান্টবাজি’ বলেছেন সচেতন নাগরিকেরা। তারা বলেন, আবেদনকারীর নাম ও স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা ও আবেদনকারীর ফোন নম্বর ছাড়া আবেদনের সূত্র ধরে কী করে শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হতে পারে? বিষয়টি মিডিয়ার স্টান্টবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া কথিত ওই আবেদনপত্রের কপিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একটি সীল দেখা গেছে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে, আবেদনকারীর নাম ও স্বাক্ষর, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা ও আবেদনকারীর ফোন নম্বর ছাড়া ওই মন্ত্রণালয় কিভাবে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করল? তাছাড়াও মন্ত্রণালয় যদি আবেদনপত্রটি গ্রহণ করেও থাকে তাহলে মন্ত্রণালয় আবেদনপত্রটির আবেদনকারী হিসেবে কোন ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রার বইয়ে লিপিবদ্ধ করেছে?
লক্ষ্য করার আরো একটি বিষয় হলো কথিত আবেদনপত্রে মন্ত্রণালয়ের সীলের আশেপাশে বা কোথাও আবেদনপত্রটির গ্রহণকারীর কোন নোট নেই।
আলোচ্য বিষয়টি যদি ’গণস্বাক্ষর’ হতো, তাহলেও বিধি মোতাবেক একজন ব্যক্তি আবেদনকারী হিসেবে আবেদনপত্রটি উপস্থাপন করতেন।
এতে করে বুঝা যায় আবেদনপত্রটি যথাযথ নয়। যা নিয়ে কতিপয় মিডিয়া ঢালাওভাবে স্টান্টবাজি করেছে।
ভূয়া আবেদনপত্রের স্টান্টবাজির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কাউন্সিলর সাংবাদিকদের বলেছেন যে তারা এ ধরনের কোন আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেননি, যা মূলধারার কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
কথিত ওই আবেদনপত্রে কোনোভাবেই স্বাক্ষর দেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র প্রভাবশালী নেতা ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হাসান আজমল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়র পদে পুনর্বহালের কোনও আবেদনপত্রে আমি স্বাক্ষর দিইনি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যদি ওই আবেদনে আমার স্বাক্ষর থাকে, তবে অন্য কেউ দিয়েছে। এটি জালিয়াতি ও প্রতারণা।”
এছাড়াও কথিত আবেদনপত্রে উল্লিখিত ’গাজীপুরের উন্নয়ন ও আগামী নির্বাচনে (জাহাঙ্গীরের) বিজয় নিশ্চিত করতে’ বিএনপি'র বেশ কয়েক নেতা ও কাউন্সিলরদের নাম ও স্বাক্ষর থাকায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে বিএনপির এইসব নেতারাও কি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত করতে চায়?
প্রসঙ্গত: সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩ ও মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ কিছু সংবাদপত্র, নিউজ পোর্টাল, ও টেলিভিশন চ্যানেলে “গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে স্বপদে পুনর্বহাল করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন কাউন্সিলররা। গতকাল রোববার এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে আবেদনপত্র দেন তাঁরা। এতে ওই সিটি করপোরেশনের ৬১ জন কাউন্সিলর স্বাক্ষর করেন।” প্রসঙ্গে ফলাও করে সংবাদ প্রচার করে। ওই সংবাদকে “মিডিয়া স্টান্টবাজি” বলে আখ্যা দিয়েছেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার। তিনি বলেন, “একজন সচেতন নাগরিক ও সংবাদকর্মী হিসেবে আমি দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাই আশা করি।”
গাজীপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, “বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। এই সুযোগে গণমাধ্যম অযাচাইকৃত তথ্য প্রকাশ করলে তা জনগণের কাছে কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না। ফরমায়েশি সাংবাদিকতার অন্তরালে কতিপয় গণমাধ্যমের গোপন মুনাফার উৎস থাকে কিনা তা খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।”
মন্তব্য করুন: