![]() |
সৌজন্যে: দ্য ডেইলি স্টার |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে ফের ওই পদে পুনর্বহালের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন পত্রের সাথে কমপক্ষে ৬০ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। যদিও এর মধ্যে বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর ওই আবেদনে স্বাক্ষর দেননি বলে স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এ বিষয়ে কিছু জানেনা বলেও জানান। ওই আবেদনে স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর তাদের স্বাক্ষরের বিষয়ে ভিন্নমত দিয়েছেন। তাদের কেউ স্বাক্ষর অস্বীকার করেছেন এবং একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তাদের স্বাক্ষর অন্য কেউ দিয়ে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জাহাঙ্গীর আলমকে ফের ওই পদে পুনর্বহালের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন পত্রের সাথে কমপক্ষে ৬০ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। যদিও এর মধ্যে বেশ কয়েক জন কাউন্সিলর ওই আবেদনে স্বাক্ষর দেননি বলে স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এ বিষয়ে কিছু জানেনা বলেও জানান। ওই আবেদনে স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর তাদের স্বাক্ষরের বিষয়ে ভিন্নমত দিয়েছেন। তাদের কেউ স্বাক্ষর অস্বীকার করেছেন এবং একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তাদের স্বাক্ষর অন্য কেউ দিয়ে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে পদে ফেরাতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে ৬০ কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। তবে এর মধ্যে ছয় কাউন্সিলর আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেননি বলে জানিয়েছেন। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই ছয় কাউন্সিলর। একইসঙ্গে এটিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি বলেছেন তারা।
রোববার (১২ মার্চ) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বরাবর দেড় পাতার একটি চিঠির সাথে অপর আরো তিন পাতায় মোট ৬০ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষর যুক্ত কাগজ জমা দেওয়া হয়। তবে কোন স্বাক্ষরের নিচে তারিখ ছিল না।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত জাহাঙ্গীর আলমকে তার পদে পুনর্বহালের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন ওই ৬০জন কাউন্সিলর। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সিটি করপোরেশনের কয়েক জন কাউন্সিলরের সাথে কথা বললে তারা স্বাক্ষরের ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে অস্বীকার করেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের উত্তর সালনা এলাকার (২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর আফছানা আক্তার বলেন, বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে পুনর্বহালের জন্য আমি কোন আবেদনে স্বাক্ষরের বিষয়ে কিছু বলতে পারি না। ওই আবেদনে আপনার স্বাক্ষর রয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যদি স্বাক্ষর থাকে সেটা আমার স্বাক্ষর। আমি সহজ সরল মানুষ এ বিষয়ে এ মুহুর্তে কোন কিছু বলতে পারব না।
লতিফপুর, ছোট গোবিন্দপুর এলাকার (০২ নম্বর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: মোন্তাজ উদ্দিন আহামেদ বলেন, কাউন্সিলর হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় স্বাক্ষর দিতে হয়। তবে কখন কোথায় স্বাক্ষর দিয়েছি তা এখন মনে করতে পারছি না।
মহানগরের রাজবাড়ী উত্তর পাড়া, এফ-২২ এলাকার (২৮ নম্বর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: হাসান আজমল ভূঁইয়া বলেন, সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে মেয়র পদে পুনর্বহালের কোনো আবেদনে আমি স্বাক্ষর দেইনি এবং এ বিষয়ে কোন কিছুই আমি জানি না। যদি ওই আবেদনে আমার স্বাক্ষর থেকে থাকে তবে সেটা অন্য কেউ দিয়ে থাকতে পারে।
মহানগরের হায়দারাবাদ এলাকার (৩৯ নম্বর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: শাহীনুল আলম মৃধা বলেন, মেয়র পদে বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে পুনর্বহালের কোনো আবেদনে আমি স্বাক্ষর দেইনি। ওই ধরনের কোনো আবেদনে যদি আমার স্বাক্ষর দেওয়া থাকে সেটা আমার জানা নেই।
কুনিয়া, তারগাছ এলাকার (৩৭ নম্বর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম দুলাল বলেন, আমি দেশের বাইরে (চেন্নাই) ছিলাম। গত দুইদিন আগে রাতে দেশে ফিরেছি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না এবং কোথাও কোনো আবেদনে স্বাক্ষর দেইনি।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের খাইলকুর এলাকার (৩৭, ৩৮ ও ৩৯ নম্বর) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর মোসা. শিরিন আক্তার বলেন, এসব আবেদনের বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানি’ই না।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন কাউন্সিলর এবং ১৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ মোট ৭৬ জন নির্বাচিত কাউন্সিলর রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরন প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গোপনে ধারণ কৃত জাহাঙ্গীর আলমের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই অডিওতে জাহাঙ্গীর আলম মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করতে শোনা যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ নভেম্বর তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। পরে বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটির মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন: