
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ণ প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং সিটি কর্পোরেশনের আহরণকৃত রাজস্ব খাতের টাকায় গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ণ কাজ বাস্তবায়নে কি কি অনিয়ম হয়েছে তা তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য দুদক গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল রবিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় প্রতিনিধিদল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে সাথে করে নিয়ে যান।
নগর ভবন থেকে বেরিয়ে যাবার সময় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন তদন্ত দলের সদস্য দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান আশিক। এ সময় তদন্ত দলের প্রধান দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবর উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত দলের প্রধানের অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান আশিক।
সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান বলেন, আমরা ২৬ পাতার অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের হাতে কয়েক শত পৃষ্ঠার অভিযোগ মালা জমা পড়েছে। আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ অনুসন্ধান করব এবং প্রমাণ পাওয়া গেলে দুদক আইন অনুযায়ী মামলা রজ্জু করা হবে। তিনি বলেন, আজকে আমরা কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, অভিযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র দেখেছি, প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের লক্ষ্যে বরাদ্দ করা ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে কোথায় কি অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত করছি। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় এবং উক্ত টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় হয়েছে, এসব ক্ষেত্রে কি কি অনিয়ম হয়েছে-সে বিষয়গুলো অনুসন্ধান করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ব্যাংকের বৈধ ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য যেমন কয়টি ব্যাংকে কয়টি হিসাব আছে, এসব হিসাব কিভাবে পরিচালিত হয় সেসব তথ্য, কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন, গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি বেসরকারি ব্যাংকে সিটি কর্পোরেশনের নামে জাহাঙ্গীর আলমের একক স্বাক্ষরে অ্যাকাউন্ট খুলে আড়াই কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এটি সরেজমিনে যাচাই করার জন্য গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় আজ (রবিবার) অনুসন্ধান করা হবে। আমরা তথ্য পেয়েছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উক্ত হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করে সেসব অর্থ উক্ত হিসাবে জমা করে অবৈধভাবে খরচ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণিত হলে দ্রুতই দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, অনিয়ম/দুর্ণীতি ৫০০ টাকার হোক বা শত কোটি টাকার হোক সরকারি টাকার অনিয়মের প্রমাণ পেলেই মামলা রুজু করব।
এ সময় উপস্থিত উপ-পরিচালক আলী আকবর বলেন, দুদক একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ সংস্থা। আমাদের কারো প্রতি অনুরাগ বা রাগ নেই। যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা আপসহীন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের নিকট সিটি কর্পোরেশনের অনিয়ম দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে সেগুলো তদন্ত কমিটির নিকট উপস্থাপনের আহ্বান জানান।
দুদক সহকারী পরিচালক আরো জানান, বিশ্ব ইজতেমার খরচের ভাউচারের অনিয়ম, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক প্রশম্তকরণ কাজে প্রা্কলন অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ার অভিযোগ, অনেক সড়কে প্রাক্কলনের অতিরিক্ত সড়ক প্রশস্ত করার নামে বাড়ী ঘর ভাঙ্গা, ভাঙ্গা বাড়ী ঘরের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে কি না, তাদের ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়েছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় অনুসন্ধান এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে। এক কথায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের যত রকমের অনিয়ম হয়েছে,সব নিয়ে এখন কাজ করছি। আমাদের এই তদন্ত অব্যাহত থাকবে। তদন্ত চলাকালীন যেসব বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, সে সব বিষয়ে মামলা হবে। এ সময় তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন, আমরা কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছি, আপনারা মামলার ঝিলিক দেখতে পাবেন।
উল্লেখ্য,গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে গাজীপুর সিটির প্যানেল মেয়র মো. আসাদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওইদিন তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা সাতটি মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনি আগাম জামিন পেয়েছেন। অপরদিকে, গত ৩১ আগস্ট ফরিদপুর ৩নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’র পক্ষে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২৩ আগস্ট রুল জারি হয়েছে। এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ণ প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং সিটি কর্পোরেশনের আহরণকৃত রাজস্ব খাতের টাকায় গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ণ কাজ বাস্তবায়নে কি কি অনিয়ম হয়েছে তা তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য দুদক গঠিত দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল রবিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় প্রতিনিধিদল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করে সাথে করে নিয়ে যান।
নগর ভবন থেকে বেরিয়ে যাবার সময় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন তদন্ত দলের সদস্য দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান আশিক। এ সময় তদন্ত দলের প্রধান দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবর উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত দলের প্রধানের অনুমতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান আশিক।
সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান বলেন, আমরা ২৬ পাতার অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। পরবর্তীতে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের হাতে কয়েক শত পৃষ্ঠার অভিযোগ মালা জমা পড়েছে। আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ অনুসন্ধান করব এবং প্রমাণ পাওয়া গেলে দুদক আইন অনুযায়ী মামলা রজ্জু করা হবে। তিনি বলেন, আজকে আমরা কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, অভিযোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র দেখেছি, প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের লক্ষ্যে বরাদ্দ করা ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে কোথায় কি অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত করছি। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় এবং উক্ত টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় হয়েছে, এসব ক্ষেত্রে কি কি অনিয়ম হয়েছে-সে বিষয়গুলো অনুসন্ধান করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ব্যাংকের বৈধ ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য যেমন কয়টি ব্যাংকে কয়টি হিসাব আছে, এসব হিসাব কিভাবে পরিচালিত হয় সেসব তথ্য, কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন, গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি বেসরকারি ব্যাংকে সিটি কর্পোরেশনের নামে জাহাঙ্গীর আলমের একক স্বাক্ষরে অ্যাকাউন্ট খুলে আড়াই কোটি টাকা দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এটি সরেজমিনে যাচাই করার জন্য গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখায় আজ (রবিবার) অনুসন্ধান করা হবে। আমরা তথ্য পেয়েছি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে উক্ত হিসাবে পে-অর্ডারের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করে সেসব অর্থ উক্ত হিসাবে জমা করে অবৈধভাবে খরচ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণিত হলে দ্রুতই দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কর্মকর্তা আরো বলেন, অনিয়ম/দুর্ণীতি ৫০০ টাকার হোক বা শত কোটি টাকার হোক সরকারি টাকার অনিয়মের প্রমাণ পেলেই মামলা রুজু করব।
এ সময় উপস্থিত উপ-পরিচালক আলী আকবর বলেন, দুদক একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ সংস্থা। আমাদের কারো প্রতি অনুরাগ বা রাগ নেই। যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা আপসহীন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের নিকট সিটি কর্পোরেশনের অনিয়ম দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনো তথ্য থাকলে সেগুলো তদন্ত কমিটির নিকট উপস্থাপনের আহ্বান জানান।
দুদক সহকারী পরিচালক আরো জানান, বিশ্ব ইজতেমার খরচের ভাউচারের অনিয়ম, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক প্রশম্তকরণ কাজে প্রা্কলন অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ার অভিযোগ, অনেক সড়কে প্রাক্কলনের অতিরিক্ত সড়ক প্রশস্ত করার নামে বাড়ী ঘর ভাঙ্গা, ভাঙ্গা বাড়ী ঘরের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে কি না, তাদের ক্ষতিপুরণ দেয়া হয়েছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় অনুসন্ধান এবং তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হবে। এক কথায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের যত রকমের অনিয়ম হয়েছে,সব নিয়ে এখন কাজ করছি। আমাদের এই তদন্ত অব্যাহত থাকবে। তদন্ত চলাকালীন যেসব বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হবে, সে সব বিষয়ে মামলা হবে। এ সময় তিনি বলেন, অপেক্ষা করুন, আমরা কিছু তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়েছি, আপনারা মামলার ঝিলিক দেখতে পাবেন।
উল্লেখ্য,গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে ও একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং প্রতিবছর হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে গাজীপুর সিটির প্যানেল মেয়র মো. আসাদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওইদিন তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলের সদস্যপদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় করা সাতটি মামলায় গত ২২ আগস্ট তিনি আগাম জামিন পেয়েছেন। অপরদিকে, গত ৩১ আগস্ট ফরিদপুর ৩নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবিক বাংলাদেশ সোসাইটি’র পক্ষে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২৩ আগস্ট রুল জারি হয়েছে। এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গত বুধবার (৩১ আগষ্ট) ফরিদপুর জেলার ৩নং আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মন্তব্য করুন: