
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারী মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সিন্ডিকেট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর নামে হাতিয়ে নিয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২ টাকা। অনুষ্ঠান না করেই এ খাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন তহবিল থেকে ওই পরিমাণ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে ওই সময়ে সকল ধরনের অনুষ্ঠান করার বিষয়ে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাবদ মোট ৬টি চেক ইস্যু করে এই টাকা নয়ছয় করা হয়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নামে একই বছরের ৪ মার্চ ইস্যুকৃত চেকে টাকার পরিমান ৪৬ লক্ষ টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া ওই চেক তৎকালীন সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নামে নগদায়নের অনুরোধপত্র পাঠান ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, টঙ্গী এর হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য চেকের পেছনে ‘মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান’ -এ নামে দুটি স্বাক্ষর রয়েছে। তবে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নামে ইস্যুকৃত ৪৬ লাখ টাকার চেকটি টাকা সিটি করপোরেশনের হিসাব শাখায় মাষ্টার রোলে নিয়োজিত কর্মচারী নাজমুল ইসলাম নিজ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে উত্তোলন করেন।
অনুরূপভাবে একই খাতে ব্যয়ের জন্য ৪৫ লাখ টাকার একটি চেক ২০২০ সালের ৪ মার্চ ইস্যু করা হয় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল বারীর নামে। কিন্তু রেজাউল বারী বর্তমান দায়িত্বে নিয়োজিত ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে ওই টাকার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, টঙ্গী এর হিসাব থেকে ওই টাকা প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল বারীর নামে নগদায়নের জন্য অনুরোধপত্র পাঠান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। হিসাব শাখায় মাষ্টার রোলে নিয়োজিত কর্মচারী মোঃ সোলায়মান নিজ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে এই চেকটির (নং-১৪২৪৫৩৫) টাকা উত্তোলন করেন।
২০২১ সালের ২ ফেব্রæয়ারি মানুষ দ্বারা জাতীয় পতাকা ও ম্যাপে বঙ্গবন্ধুর ছবি তৈরি করে ওয়ার্ল্ড গ্রিনেজ বুকে রেকর্ডের জন্য ব্যয় ২৩ লক্ষ ৯১ হাজার ২০০ টাকা। ওয়ার্ল্ড গ্রিনেজ বুকে রেকর্ডের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোথায় কখন এ কর্মসূচি বাস্তয়িত হয়েছে তা জানেন না কেউ।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরীর নামেও ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পোষ্টার মুদ্রণ বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এ উপলক্ষে ৩টি স্থানে কাউন্টডাউন স্থাপনের জন্য ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি দেখানো অস্বাভাবিক ব্যয়ের পরিমান ৫৪ লক্ষ টাকা। এ হিসাবে প্রতিটি স্থানে কাউন্টডাউন স্থাপনে খরচ দেখানো হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা করে। গোল্ডেন কনস্ট্রাকশন এর নামে ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭২ টাকার একটি চেক ইস্যু করা হয়।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যগুলো বলছে, অনুষ্ঠান না করেই ওই অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারির কারণে সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার নির্দেশ থাকলেও রাজবাড়ীর মাঠে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করা হয় মর্মে দেখানো হয়েছে। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য সঠিক নিয়মে কমিটি গঠন করা হয় নাই। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কমিটির অনুমোদন নাই। জমা দেওয়া বিল ভাউচারের তারিখের সাথে অনুষ্ঠানের তারিখের সামঞ্জস্য নাই। নথিতে সমন্বয় অনুমোদনের তারিখ ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল। কিন্তু ভাউচারের তারিখ দেখানো হয়েছে এর ৫ দিন আগের। অর্থাৎ ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনটি অর্থ বছরের পুরোটা সময় ধরে তিনি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ সংক্রান্তে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তিকারী মেয়র জাহাঙ্গীর আলম সিন্ডিকেট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর নামে হাতিয়ে নিয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭২ টাকা। অনুষ্ঠান না করেই এ খাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন তহবিল থেকে ওই পরিমাণ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে ওই সময়ে সকল ধরনের অনুষ্ঠান করার বিষয়ে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তহবিল থেকে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বাবদ মোট ৬টি চেক ইস্যু করে এই টাকা নয়ছয় করা হয়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নামে একই বছরের ৪ মার্চ ইস্যুকৃত চেকে টাকার পরিমান ৪৬ লক্ষ টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া ওই চেক তৎকালীন সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নামে নগদায়নের অনুরোধপত্র পাঠান ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, টঙ্গী এর হিসাব থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য চেকের পেছনে ‘মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান’ -এ নামে দুটি স্বাক্ষর রয়েছে। তবে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নামে ইস্যুকৃত ৪৬ লাখ টাকার চেকটি টাকা সিটি করপোরেশনের হিসাব শাখায় মাষ্টার রোলে নিয়োজিত কর্মচারী নাজমুল ইসলাম নিজ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে উত্তোলন করেন।
অনুরূপভাবে একই খাতে ব্যয়ের জন্য ৪৫ লাখ টাকার একটি চেক ২০২০ সালের ৪ মার্চ ইস্যু করা হয় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল বারীর নামে। কিন্তু রেজাউল বারী বর্তমান দায়িত্বে নিয়োজিত ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে ওই টাকার বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, টঙ্গী এর হিসাব থেকে ওই টাকা প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল বারীর নামে নগদায়নের জন্য অনুরোধপত্র পাঠান গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। হিসাব শাখায় মাষ্টার রোলে নিয়োজিত কর্মচারী মোঃ সোলায়মান নিজ মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে এই চেকটির (নং-১৪২৪৫৩৫) টাকা উত্তোলন করেন।
২০২১ সালের ২ ফেব্রæয়ারি মানুষ দ্বারা জাতীয় পতাকা ও ম্যাপে বঙ্গবন্ধুর ছবি তৈরি করে ওয়ার্ল্ড গ্রিনেজ বুকে রেকর্ডের জন্য ব্যয় ২৩ লক্ষ ৯১ হাজার ২০০ টাকা। ওয়ার্ল্ড গ্রিনেজ বুকে রেকর্ডের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোথায় কখন এ কর্মসূচি বাস্তয়িত হয়েছে তা জানেন না কেউ।
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরীর নামেও ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পোষ্টার মুদ্রণ বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ১২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। এ উপলক্ষে ৩টি স্থানে কাউন্টডাউন স্থাপনের জন্য ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি দেখানো অস্বাভাবিক ব্যয়ের পরিমান ৫৪ লক্ষ টাকা। এ হিসাবে প্রতিটি স্থানে কাউন্টডাউন স্থাপনে খরচ দেখানো হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা করে। গোল্ডেন কনস্ট্রাকশন এর নামে ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭২ টাকার একটি চেক ইস্যু করা হয়।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যগুলো বলছে, অনুষ্ঠান না করেই ওই অর্থ ব্যয় দেখানো হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারির কারণে সরকারী/বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকার নির্দেশ থাকলেও রাজবাড়ীর মাঠে ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করা হয় মর্মে দেখানো হয়েছে। অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য সঠিক নিয়মে কমিটি গঠন করা হয় নাই। ব্যয়ের ক্ষেত্রে কমিটির অনুমোদন নাই। জমা দেওয়া বিল ভাউচারের তারিখের সাথে অনুষ্ঠানের তারিখের সামঞ্জস্য নাই। নথিতে সমন্বয় অনুমোদনের তারিখ ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল। কিন্তু ভাউচারের তারিখ দেখানো হয়েছে এর ৫ দিন আগের। অর্থাৎ ২০২০ সালের ১২ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনটি অর্থ বছরের পুরোটা সময় ধরে তিনি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ সংক্রান্তে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: