
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বর্জ্য অপসারণ ও হোল্ডিং ট্যাক্স সমন্বয়ের অগ্রিম এবং প্লানের জরিমানা বাবদ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনটি অর্থ বছরে(২০১৮-২০২১) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ খাতে মোট ব্যয়ের পরিমান ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ টাকা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কাজের জন্য সে সময়ে কোন টেন্ডার আহবান করা হয়নি, কোন কমিটিও গঠন করা হয়নি, এমনকি কোন দরপত্রও নেওয়া হয়নি এবং অগ্রীম টাকা নিয়ে নেওয়া হলেও তা সমন্বয় করা হয়নি।
ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে ততকালীন সময় ২০২১ সালের ৪ জুলাই দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো গাজীপুর সিটি এলাকায় ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে যাতে শিরোনাম "আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ময়লা-বাণিজ্যের অভিযোগ”।
সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশনের ৮টি অঞ্চলে টেন্ডারের মাধ্যমে ড্রেন পরিষ্কার দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে কোন অঞ্চলেই ড্রেন পরিষ্কার করা হয়নি। কাজ করা না হলেও বিল পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। কাজ না করেই বিলের টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন বিনা টেন্ডারে নিয়োজিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ট ও পছন্দের লোকজন। বর্জ্য অপসারণের বিল করার ক্ষেত্রে সরকারী-বিধি-বিধানও অনুসরণ করা হয়নি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাউচারের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ জানান, ওই ৩টি অর্থবছরের বর্জ্য অপসারণ বাবদ দেখানো ব্যয় ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’।
অন্যদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের একক স্বাক্ষরে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক কোনাবাড়ী শাখার একটি একাউন্ট খোলার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের নামে কোনো ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট খোলার বিধান নেই, তা সত্ত্বেও বরখাস্তকৃত মেয়র নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স সমন্বয়ের অগ্রিম ও প্লানের জরিমানা বাবদ ৫টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে উক্ত একাউন্টে আদায় করে নেয়।
উক্ত পে-অর্ডারের টাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত একাউন্টে জমা না করে নিজে এবং তার বাড়ির কেয়ারটেকার পলো চাকমা ও শহিদুল এর মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।
এভাবেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর ৬দিনের মাথায় ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল আলম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বর্জ্য অপসারণ ও হোল্ডিং ট্যাক্স সমন্বয়ের অগ্রিম এবং প্লানের জরিমানা বাবদ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনটি অর্থ বছরে(২০১৮-২০২১) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ খাতে মোট ব্যয়ের পরিমান ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬১ টাকা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কাজের জন্য সে সময়ে কোন টেন্ডার আহবান করা হয়নি, কোন কমিটিও গঠন করা হয়নি, এমনকি কোন দরপত্রও নেওয়া হয়নি এবং অগ্রীম টাকা নিয়ে নেওয়া হলেও তা সমন্বয় করা হয়নি।
ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে ততকালীন সময় ২০২১ সালের ৪ জুলাই দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো গাজীপুর সিটি এলাকায় ময়লা-বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে যাতে শিরোনাম "আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ময়লা-বাণিজ্যের অভিযোগ”।
সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায়, সিটি কর্পোরেশনের ৮টি অঞ্চলে টেন্ডারের মাধ্যমে ড্রেন পরিষ্কার দেখানো হলেও প্রকৃতপক্ষে কোন অঞ্চলেই ড্রেন পরিষ্কার করা হয়নি। কাজ করা না হলেও বিল পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। কাজ না করেই বিলের টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন বিনা টেন্ডারে নিয়োজিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ট ও পছন্দের লোকজন। বর্জ্য অপসারণের বিল করার ক্ষেত্রে সরকারী-বিধি-বিধানও অনুসরণ করা হয়নি। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাউচারের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সভায় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ জানান, ওই ৩টি অর্থবছরের বর্জ্য অপসারণ বাবদ দেখানো ব্যয় ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’।
অন্যদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের একক স্বাক্ষরে দি প্রিমিয়ার ব্যাংক কোনাবাড়ী শাখার একটি একাউন্ট খোলার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের নামে কোনো ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট খোলার বিধান নেই, তা সত্ত্বেও বরখাস্তকৃত মেয়র নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স সমন্বয়ের অগ্রিম ও প্লানের জরিমানা বাবদ ৫টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে উক্ত একাউন্টে আদায় করে নেয়।
উক্ত পে-অর্ডারের টাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত একাউন্টে জমা না করে নিজে এবং তার বাড়ির কেয়ারটেকার পলো চাকমা ও শহিদুল এর মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়।
এভাবেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে জনগণের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন সাময়িক বহিস্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
প্রসঙ্গত: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় গত বছরের ১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর ৬দিনের মাথায় ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল আলম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিটি করপোরেশন আইন-২০১৯ এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিধিনিষেধ পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি ও ইচ্ছাকৃত অপশাসনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: