
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃত মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় এবারও আদালতে প্রতিবেদন দেয়নি পুলিশ। আজ বুধবার (৩০ মার্চ ২০২২) মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল। গাজীপুর মহানগরের নলজানি এলাকার বাসিন্দা মো. আতিক মাহমুদ (চেয়ারম্যান, আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন পরিষদ) বাদী হয়ে ওই মামলা (সিআর নং ১২১০/২০২১) করেছেন।
এর আগে আদালত ৩০ জানুয়ারির মধ্যে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন। ওই ৩০ জানুয়ারি পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল না করায় বিচারক কায়সারুল ইসলাম মামলার শুনানির তারিখ ৩০ মার্চ ধার্য করেছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ মানহানির অভিযোগে নালিশি মামলায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তকৃত মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ৩০ মার্চ আদালতের শুনানিতে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আদালতে এসেছি’। কিন্তু তিনি আজ আদালতে না আসায় তার ওই উক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। মামলার বাদী আন্তর্জাতিক ভাষা আন্দোলন পরিষদ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি আতিক মাহমুদ। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার নলজানী এলাকার মৃত আবদুল আউয়ালের পুত্র।
বাদী তাঁর মামলার আবেদনে অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত একজন মেয়র হয়েও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাহাঙ্গীর তাঁর বাসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে কটূক্তি করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তাঁর বক্তব্যে সমগ্র বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির সুনাম ক্ষুন্ন হয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। মামলায় তাঁর ১০০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই ঘটনার জেরে গত বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। জাহাঙ্গীর আলম গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে ২৫ নভেম্বর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন: